ইবিতে বরাদ্দকৃত রুমের দাবিতে ফের আন্দোলন, উপাচার্যের আশ্বাসে ফিরল শিক্ষার্থীরা

ইবিতে বরাদ্দকৃত রুমের দাবিতে ফের আন্দোলন, উপাচার্যের আশ্বাসে ফিরল শিক্ষার্থীরা

ইবি প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বরাদ্দকৃত ক্লাসরুম ফিরে পাবার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন। দুই ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি শেষে উপাচার্যের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি স্থগিত করেন।

কর্মসূচির সময় শিক্ষার্থীদের হাতে “শিক্ষা সবার অধিকার, স্পোর্টস সায়েন্স কেন বঞ্চিত বারবার?”, “কোথায় পড়বো, কোথায় শিখবো—ক্লাসরুম চাই, ক্লাসরুম চাই!”, “সবার নাই ক্লাসরুম, ইবি প্রশাসন দিচ্ছে ঘুম!”, “আমাদের অধিকার—ক্লাসরুম দিতে হবে!”, “অন্য বিভাগ স্বর্গে, স্পোর্টস সায়েন্স কেন মর্গে?”—এমন নানা স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

এর আগে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় একই দাবিতে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁরা প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করেন। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় রবিবার ফের আন্দোলনে নামেন তাঁরা।

এদিকে, শ্রেণিকক্ষের সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে একটি কক্ষ পুনর্বণ্টন-বিষয়ক কমিটি গঠন করে। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ. এম. আলী হাসানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

চার সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী এবং সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন ভিসি অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ শিবলী। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন—থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ. ব. ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশরাফী ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বেগম রোকসানা মিলি।

কক্ষ পুনর্বণ্টন-বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, “আমি বিষয়টি সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আশা করছি, দ্রুতই শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ প্রয়োজনীয় কক্ষ পাবে।”

পরে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, “কক্ষ বরাদ্দের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শেষের দিকে। যত দ্রুত সম্ভব সংশ্লিষ্ট বিভাগকে কক্ষ বুঝিয়ে দেওয়া হবে।”