দেশান্তর ডেস্ক: শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার সময় নন্দলালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কে হত্যার উদ্দেশ্যে দশ থেকে বারো জনের একটি দল কুপিয়ে জখম করে সড়কের উপর ফেলে রেখে যায়।
হামলার বিষয়ে চর চাপড়া এলাকার মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে তসমেল আহাম্মেদ বলেন আমাদের এলাকার বালির ঘাট থেকে নিয়মিত বড় বড় ট্রাক যাতায়াত করে এতে এলাকাবাসীর চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হয় যেকারনে এলাকার সবাই বড় ড্রাম ট্রাক চলাচলের বিষয়ে নিষেধ করে এরই প্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার আনুমানিক বিকেল সাড়ে চারটার সময় কুমারখালী পৌর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও একাধিক মামলার আসামী আব্দুস সামাদ পাখি এসে আমাকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বলে তোরা বালির গাড়ী চলাচলে বাঁধাদিস তোর বাড়ি ঘরে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে দেবো, তুই কোথায় আছিস বল তোকে দেখে নেবো, এরপর আমাকে একটি দোকানের উপর থেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
এই ঘটনার সূত্র ধরে আজ রাত সাড়ে আটটার দিকে দুই সিএনজি এবং মটর সাইকেল নিয়ে দশ থেকে বারো জন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আলাউদ্দিন নগর ষ্টেশন বাজার মহাসড়কের উপর পুরাতন গরুর হাট এলাকায় হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে নন্দলালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলামের উপর এসময় তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
হামলার বিষয়ে আব্দুস সামাদ পাখি মুঠোফোনে জানান আমি বালির ঘাটের অংশিদার প্রতিনিয়ত সেখানে আমি যাওয়া আসা করি দুইদিন আগেও শহিদুল সহ ওই এলাকার একটি পক্ষ আমার উপর হামলা করে। এবিষয়ে তাদের নামে মামলাও আছে, আজকের বিষয়ে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই কারা হামলা করেছে সে বিষয়েও আমার জানা নেই, ওই এলাকার সিসি ফুটেজ দেখলেই বোঝা যাবে আমি সেখানে ছিলাম কি না।
শহিদুল ইসলামের আপন ভাই আব্দুল আলীম বলেন আমি আলাউদ্দিন নগর মোড়ে দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় ফোন আসে আমার ভাইকে কারা যেন মারছে, ভ্যানে করে কেউ একজন নিয়ে আসছে পুরো মুখ রক্তাক্ত অবস্থায় তখন আমি দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করায়। এবিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এবিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরেছি তবে এখনো আমরা কোন অভিযোগ পায়নি অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।