কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন ডাঃ রাশেদ

নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ সুস্থ দেহ আর সুন্দর মন নিয়ে ইহকাল ও পরকালীন মুক্তির কান্ডারী হতে চায় ডাঃ রাশেদ। সেই লক্ষ্যেই তিনি তার নিজ এলাকা সহ মিরপুর উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নব্যাপী অসহায় দুস্থ্য মানুষদের বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা ও কোরআন শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছেন।

ইতিমধ্যে চারটি ইউনিয়নে এই সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে পর্যায়ক্রমে সব ইউনিয়নে চিকিৎসা সেবা প্রদান শুরু করবেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় হাতে,পায়ে,কোমরে ব্যাথা,কারো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আবার কেউ এসেছেন ক্যান্সারের মত জটিল রোগের চিকিৎসা নিতে। চিকিৎসক বিনেপয়সাতে রোগী দেখছেন,পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে প্রত্যেক রোগীকে বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ঔষধও প্রদান করছেন চিকিৎসক।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মালিহাদ ইউনিয়নে নতুন গ্রামে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেল ডাঃ রাশেদ দাতব্য চিকিৎসালয়ে।গ্রামীণ জনপদের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সম্পুর্ণ বিনামূল্যে এমন উন্নত চিকিৎসা সেবা পেয়ে বেজায় খুশি দুস্থ অসহায় রোগীরা।

ডাঃ রাশেদ দাতব্য চিকিৎসালয় নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী মূলক প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে এদিন প্রায় দুই শত রোগীকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে বিনামূল্যে ঔষধ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় স্পেশালিস্ট ও দেশবরেণ্য চিকিৎসক ডাঃ রাশেদুল হকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও পরিচালনায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের এই মহৎ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বর্তমানে মিরপুর উপজেলার চারটি ইউনিয়নে নির্দিষ্ট সেন্টারে পালাক্রমে প্রতিমাসে এই কর্মসূচি চলমান রয়েছে।

বিগত ছয় মাসে যারা ফ্রী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই সুস্থ্য হয়েছেন অথবা চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসা নিচ্ছেন, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার কার্যকারীতা ধীরে ধীরে হলেও সঠিক ঔষুধ প্রয়োগের ফলে অনেক গরীব অসহায় মানুষেরা উপকৃত হচ্ছেন বলেও জানান সেবা নিতে আসা রোগীরা।

এবিষয়ে ডাঃ রাশেদুল হক বলেন, আমি মুলত রাজধানীতে চিকিৎসা করে থাকি সেখানে আমার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। আমার পিতাও অত্র এলাকার মানুষের জন্য চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছেন তারই ধারাবাহিকতায় নিজ এলাকার মানুষদের জন্য এমন একটি কর্মকান্ড শুরু করেছি। অত্র উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে এই কার্যক্রম শুরু করবো। সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি ডাঃ রাশেদ এসব চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে ইসলামিক সাংস্কৃতিক চর্চার অংশ হিসেবে সন্ধ্যাকালীন অবৈতনিক কুরআন শিক্ষার আয়োজন করেছে। গ্রামের সাধারণ মুসলিমরা কুরআনের আলোয় আলোকিত হচ্ছে।